ঘড়িতে তাকিয়ে দেখুন তো কয়টা বাজে
বাসর রাতে বৌয়ের এমন সাহসী প্রশ্নের কিছুটা বিচলিত হলাম। তখন ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ১২:৩০ মিনিট। আমি বৌয়ের পাশে বসে আস্তে করে বললাম। শোনো আমার এখন বিয়ে করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। আমার বাবা মায়ের পছন্দেই তোমাকে বিয়ে করেছি। তবে আমার কারো সাথে কোন সম্পর্ক ও নেই। কিন্তু আমি বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। তাই আমি এখন চাইলেও এত সহজে তোমাকে বউ হিসাবে মানতে বা বৌয়ের অধিকার দিতে পারব না। Full video link https://www.profitablecpmrate.com/iki4gbedrh?key=1811524218d2045d6675140c1f08b19f
কথা গুলো বলে শেষ করা মাত্রই নতুন বউ আমার পাঞ্জাবির কলারটা চেপে ধরে বলল। আমাকে কি খেলার পুতুল মনে হয়। নাকি পছন্দ হয়নি।
বিয়ে করতে চাননি এইটা আগে বলতে পারলেন না।
নিজের মায়ের মন রক্ষা করতে আমার সব আশা স্বপ্নকে কেন বলিদান দিতে হবে। বিয়ে করার ইচ্ছে নেই এইটা আমাকে আগে বললে পারতেন। তবে আমি আমার পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দিতাম। মায়ের প্রতি ভন্ড ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে আমার জীবনটা কেন এইভাবে নষ্ট করে দিলেন। হুম আমিতো আপনার কোন ক্ষতি করি নাই।
এখন আমি যেভাবে বলবো সেভাবে সব হবে। ঠিক আছে বলেই কলারটা ছেড়ে দিলো, পরে আবার বলল আচ্ছা যা হবার তা তো হয়েই গেছে। দিতে হবে না আমাকে বৌয়ের অধিকার। যান নিচে গিয়ে ঘুমান একদম খাটে ঘুমাতে পারবেন না। বলেই আমার বালিশ পা ফ্লোরে ছুড়ে মারলো। আমিও বাধ্য ছেলের মত ফ্লোরেই শুয়ে পড়লাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম।
কেমন গুন্ডি মেয়ে রে বাবা।
জীবনেও এমন মেয়ে দেখিনি মনেতো হচ্ছে জীবন পুরাই তেজপাতা। করে ছাড়বে।
ফ্লোরে ঘুমই আসেনা। কখনই ফ্লোরে ঘুমাই নি। কিন্তু আজকে নিজের অমতে বিয়ে করার কারনেই ফ্লোরে ঘুমাতে হচ্ছে। এর মধ্যে মশার আন্দোলন ইসসসসস সহ্য হচ্ছেনা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। কখন জানি ঘুমটা লেগে গেছে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ সজাগ হয়ে দেখি আমার শরীরে কম্বল আর পাশে ও মশার কয়েল লাগানো মনটাতে একটু স্বস্তি পেলাম, চোর হলেও মানুষ ভালো মনে মায়া দয়া আছে।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি টেবিলে চা রাখা চা খেয়ে ফ্রেস হয়ে রুমে বসে ফোন টিপছিলাম তখন ই তানিয়া, আমার বউ, এসে বললো। এইযে সেই কতক্ষন যাবত খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে আর আপনি ঘরে বসে আছেন,এখনি নিচে চলুন আগে,। বলেই আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে বললো। নাকি খাবারটা রুমে নিয়ে আসবো। আমি তো এ্যাটাক হতে হতে বেঁচে গেছি আমি তো ভেবেছিলাম বউ বুঝি এইবার ও কলার ধরে আমাকে খাবার টেবিলে নিবে।
কিন্তু না, বউয়ের স্বর পাল্টে গেছে, তবে কি বউ আমার প্রেমে পড়ে গেলো নাকি?? কথাটা ভাবতে ভাবতেই বউয়ের দিকে তাকালাম হা হয়ে তাকিয়ে ভাবছিলাম হিটলারনি এখন দেখি না মায়াময়ী। এইবার যে আমি বউয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম নিজেই নিজেকে বললাম পিন্টু মনে হয় তুই তোর হিটলারনি বউয়ের প্রেমে পড়ে গেছিস।
হঠাৎ একটা বিকট শব্দে বাস্তবে ফিরলাম। সামনে তাকিয়ে বউ আমার ফ্লোরে পারে চোখ বন্ধ করে আছে। বুঝতে পারলাম পাগলামী টা খুবই ব্যথা পাইছে দৌড়ে গিয়ে টেনে তুলে বসাতে গেলাম আর অমনি আস্তে করে বললো। কেমন স্বামী গো আপনি। আমি তো একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম বললাম। আমি আবার কিকরলাম। বৌ বললো আমি মাটিতে পরে আছি কই কোলে নিয়ে বিছানায় শোয়াবেন তা না করে আমার হাত ধরে টানছেন, সাথে সাথেই আমি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। আমার শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল। ইচ্ছে করে এইভাবে ই ধরে রাখি সারাটা জীবন। কিন্তু আপনি তো আমাকে পছন্দেই করেন না। কথা শেষ করে তানিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
আমারও বুকের ভিতরটা দুমড়ে গেল,আমারো খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল কপালে একটা চুমু একে দিয়ে বলি পাগলী আমি যে আমাকে ভালোবাসে ফেলেছি গো কিন্তু পারলাম না। কোথায় জানি একটা বাধা পাচ্ছিলাম। এই সুযোগে তানিয়া আমাকে ঠেলে বিছানায় ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালো। আমি শুধু ওর চলে যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম। পরক্ষনেই খেয়াল হলো ও তো ব্যথা পাইছে। যার কারণে কোলে করে উঠাতে হলো। বুঝতে আর বাকি রইলো না, এইবার ও আমাকে বোকা বানানো হয়েছে।
পাগলিটার সাথে খুনসুটি প্রেম করতে করতেই কেটে গেল ২টা বছর। এখন কেউ কাউকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনা। আমার পাগলী টা এখন গর্ভবতী। তাই খুব যত্ন নেই তার। আজকেই বাচ্চা হবার তারিখ দিয়েছে ডাক্তার। আমি অফিসে ছিলাম, হঠাৎই বাবার ফোন পেয়ে ছুটে গেলাম হসপিটাল, গিয়ে শুনলাম আমার ঘর আলো করে এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা। কিন্তু আমার পাগলীটার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না। কেন ভয়ে আৎকে উঠলাম। অনেকের মুখেই শুনেছি বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে অনেক মা। সে ভয়েই বাচ্চা নিতে চাইনি। কিন্তু ওর নাকি বাচ্চা লাগবেই। ,
ওর ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে কি তবে......??
আর ভাবতেই পারছিনা। আর একটা মিনিট ও নষ্ট না করে দৌড়ে গেলাম কেবিনে। গিয়ে দেখি বাচ্চা টা হাত পা নাড়িয়ে খেলছে। কিন্তু তানিয়া চোখ বন্ধ করে রাখছে ওর নিঃশ্বাস আছে কি নাই তা দেখার মতো ধৈর্য আমার ছিলোনা। তাই তানিয়াকে জড়িয়ে চিৎকার দিয়ে ফেললাম। সাথে সাথেই কানের কাছে একটু ব্যাথা অনুভব করলাম। পরে দেখি তানিয়া আমার আস্তে করে কানে কামড় দিয়ে বলল। কি ভাবছিলাম তোমাকে একা রেখে চলে যাবো?? আরে না গো আমি চলে গেলে, তোমাকে জ্বালাবে কে। আমি বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম আর বললাম বড্ড ভালোবাসি রে পাগলি
তোকে ছাড়বো না কখনই।
আমার গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট করে জানাবেন। আর শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু,,
Public-bangla.blogspot.com
বাসর রাতে বৌয়ের এমন সাহসী প্রশ্নের কিছুটা বিচলিত হলাম। তখন ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ১২:৩০ মিনিট। আমি বৌয়ের পাশে বসে আস্তে করে বললাম। শোনো আমার এখন বিয়ে করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। আমার বাবা মায়ের পছন্দেই তোমাকে বিয়ে করেছি। তবে আমার কারো সাথে কোন সম্পর্ক ও নেই। কিন্তু আমি বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। তাই আমি এখন চাইলেও এত সহজে তোমাকে বউ হিসাবে মানতে বা বৌয়ের অধিকার দিতে পারব না। Full video link https://www.profitablecpmrate.com/iki4gbedrh?key=1811524218d2045d6675140c1f08b19f
কথা গুলো বলে শেষ করা মাত্রই নতুন বউ আমার পাঞ্জাবির কলারটা চেপে ধরে বলল। আমাকে কি খেলার পুতুল মনে হয়। নাকি পছন্দ হয়নি।
বিয়ে করতে চাননি এইটা আগে বলতে পারলেন না।
নিজের মায়ের মন রক্ষা করতে আমার সব আশা স্বপ্নকে কেন বলিদান দিতে হবে। বিয়ে করার ইচ্ছে নেই এইটা আমাকে আগে বললে পারতেন। তবে আমি আমার পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দিতাম। মায়ের প্রতি ভন্ড ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে আমার জীবনটা কেন এইভাবে নষ্ট করে দিলেন। হুম আমিতো আপনার কোন ক্ষতি করি নাই।
এখন আমি যেভাবে বলবো সেভাবে সব হবে। ঠিক আছে বলেই কলারটা ছেড়ে দিলো, পরে আবার বলল আচ্ছা যা হবার তা তো হয়েই গেছে। দিতে হবে না আমাকে বৌয়ের অধিকার। যান নিচে গিয়ে ঘুমান একদম খাটে ঘুমাতে পারবেন না। বলেই আমার বালিশ পা ফ্লোরে ছুড়ে মারলো। আমিও বাধ্য ছেলের মত ফ্লোরেই শুয়ে পড়লাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম।
কেমন গুন্ডি মেয়ে রে বাবা।
জীবনেও এমন মেয়ে দেখিনি মনেতো হচ্ছে জীবন পুরাই তেজপাতা। করে ছাড়বে।
ফ্লোরে ঘুমই আসেনা। কখনই ফ্লোরে ঘুমাই নি। কিন্তু আজকে নিজের অমতে বিয়ে করার কারনেই ফ্লোরে ঘুমাতে হচ্ছে। এর মধ্যে মশার আন্দোলন ইসসসসস সহ্য হচ্ছেনা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। কখন জানি ঘুমটা লেগে গেছে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ সজাগ হয়ে দেখি আমার শরীরে কম্বল আর পাশে ও মশার কয়েল লাগানো মনটাতে একটু স্বস্তি পেলাম, চোর হলেও মানুষ ভালো মনে মায়া দয়া আছে।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি টেবিলে চা রাখা চা খেয়ে ফ্রেস হয়ে রুমে বসে ফোন টিপছিলাম তখন ই তানিয়া, আমার বউ, এসে বললো। এইযে সেই কতক্ষন যাবত খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে আর আপনি ঘরে বসে আছেন,এখনি নিচে চলুন আগে,। বলেই আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে বললো। নাকি খাবারটা রুমে নিয়ে আসবো। আমি তো এ্যাটাক হতে হতে বেঁচে গেছি আমি তো ভেবেছিলাম বউ বুঝি এইবার ও কলার ধরে আমাকে খাবার টেবিলে নিবে।
কিন্তু না, বউয়ের স্বর পাল্টে গেছে, তবে কি বউ আমার প্রেমে পড়ে গেলো নাকি?? কথাটা ভাবতে ভাবতেই বউয়ের দিকে তাকালাম হা হয়ে তাকিয়ে ভাবছিলাম হিটলারনি এখন দেখি না মায়াময়ী। এইবার যে আমি বউয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম নিজেই নিজেকে বললাম পিন্টু মনে হয় তুই তোর হিটলারনি বউয়ের প্রেমে পড়ে গেছিস।
হঠাৎ একটা বিকট শব্দে বাস্তবে ফিরলাম। সামনে তাকিয়ে বউ আমার ফ্লোরে পারে চোখ বন্ধ করে আছে। বুঝতে পারলাম পাগলামী টা খুবই ব্যথা পাইছে দৌড়ে গিয়ে টেনে তুলে বসাতে গেলাম আর অমনি আস্তে করে বললো। কেমন স্বামী গো আপনি। আমি তো একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম বললাম। আমি আবার কিকরলাম। বৌ বললো আমি মাটিতে পরে আছি কই কোলে নিয়ে বিছানায় শোয়াবেন তা না করে আমার হাত ধরে টানছেন, সাথে সাথেই আমি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। আমার শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল। ইচ্ছে করে এইভাবে ই ধরে রাখি সারাটা জীবন। কিন্তু আপনি তো আমাকে পছন্দেই করেন না। কথা শেষ করে তানিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
আমারও বুকের ভিতরটা দুমড়ে গেল,আমারো খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল কপালে একটা চুমু একে দিয়ে বলি পাগলী আমি যে আমাকে ভালোবাসে ফেলেছি গো কিন্তু পারলাম না। কোথায় জানি একটা বাধা পাচ্ছিলাম। এই সুযোগে তানিয়া আমাকে ঠেলে বিছানায় ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালো। আমি শুধু ওর চলে যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম। পরক্ষনেই খেয়াল হলো ও তো ব্যথা পাইছে। যার কারণে কোলে করে উঠাতে হলো। বুঝতে আর বাকি রইলো না, এইবার ও আমাকে বোকা বানানো হয়েছে।
পাগলিটার সাথে খুনসুটি প্রেম করতে করতেই কেটে গেল ২টা বছর। এখন কেউ কাউকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনা। আমার পাগলী টা এখন গর্ভবতী। তাই খুব যত্ন নেই তার। আজকেই বাচ্চা হবার তারিখ দিয়েছে ডাক্তার। আমি অফিসে ছিলাম, হঠাৎই বাবার ফোন পেয়ে ছুটে গেলাম হসপিটাল, গিয়ে শুনলাম আমার ঘর আলো করে এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা। কিন্তু আমার পাগলীটার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না। কেন ভয়ে আৎকে উঠলাম। অনেকের মুখেই শুনেছি বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে অনেক মা। সে ভয়েই বাচ্চা নিতে চাইনি। কিন্তু ওর নাকি বাচ্চা লাগবেই। ,
ওর ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে কি তবে......??
আর ভাবতেই পারছিনা। আর একটা মিনিট ও নষ্ট না করে দৌড়ে গেলাম কেবিনে। গিয়ে দেখি বাচ্চা টা হাত পা নাড়িয়ে খেলছে। কিন্তু তানিয়া চোখ বন্ধ করে রাখছে ওর নিঃশ্বাস আছে কি নাই তা দেখার মতো ধৈর্য আমার ছিলোনা। তাই তানিয়াকে জড়িয়ে চিৎকার দিয়ে ফেললাম। সাথে সাথেই কানের কাছে একটু ব্যাথা অনুভব করলাম। পরে দেখি তানিয়া আমার আস্তে করে কানে কামড় দিয়ে বলল। কি ভাবছিলাম তোমাকে একা রেখে চলে যাবো?? আরে না গো আমি চলে গেলে, তোমাকে জ্বালাবে কে। আমি বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম আর বললাম বড্ড ভালোবাসি রে পাগলি
তোকে ছাড়বো না কখনই।
আমার গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট করে জানাবেন। আর শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু,,
Public-bangla.blogspot.com
No comments:
Post a Comment